কম্পিউটার পেরিফেরালস হলো কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত বাহ্যিক ডিভাইসগুলি যা কম্পিউটারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং ব্যবহারকারীদের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। পেরিফেরালস কম্পিউটারের কেন্দ্রিয় অংশ (CPU, মেমোরি) এর বাইরে থাকে এবং এটি ইনপুট, আউটপুট, এবং ডেটা সংরক্ষণসহ বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে।
১. ইনপুট পেরিফেরালস:
২. আউটপুট পেরিফেরালস:
৩. স্টোরেজ পেরিফেরালস:
৪. ইনপুট/আউটপুট (I/O) পেরিফেরালস:
পেরিফেরাল ডিভাইস (Peripheral Devices) হলো কম্পিউটারের বাইরের উপাদান বা ডিভাইস যা কম্পিউটারের মূল সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত থাকে এবং বিভিন্ন ইনপুট, আউটপুট, বা স্টোরেজ কার্যক্রম সম্পাদন করে। পেরিফেরাল ডিভাইস কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এবং ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. ইনপুট ডিভাইস (Input Devices):
২. আউটপুট ডিভাইস (Output Devices):
৩. স্টোরেজ ডিভাইস (Storage Devices):
১. ইউএসবি (USB): সাধারণত ইনপুট এবং স্টোরেজ ডিভাইসগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন কীবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, এবং ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ। ২. এইচডিএমআই (HDMI): মনিটর এবং টিভির মতো আউটপুট ডিভাইস সংযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। ৩. ব্লুটুথ (Bluetooth): ওয়্যারলেস পেরিফেরাল ডিভাইস যেমন ওয়্যারলেস কীবোর্ড, মাউস, এবং স্পিকার সংযোগ করতে ব্যবহার করা হয়। 4. ওয়াইফাই (Wi-Fi): ওয়্যারলেস প্রিন্টার এবং অন্যান্য ওয়্যারলেস ডিভাইস সংযোগের জন্য ব্যবহৃত।
পেরিফেরাল ডিভাইস কম্পিউটারের বাইরের উপাদান, যা ইনপুট, আউটপুট, এবং স্টোরেজ কার্যক্রমে সহায়ক। এগুলি কম্পিউটার সিস্টেমের সঙ্গে ব্যবহারকারীর ইন্টারফেস প্রদান করে এবং কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। পেরিফেরাল ডিভাইস বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে এবং এগুলি কম্পিউটারের ব্যবহারকে আরও কার্যকর এবং বহুমুখী করে তোলে।
জয়স্টিক (Joystick) হলো একটি ইনপুট ডিভাইস যা ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার বা গেমিং কনসোলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সাহায্য করে। এটি মূলত গেম খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে এটি অন্যান্য কাজের জন্যও উপযোগী, যেমন রোবোটিক্স, সিমুলেশন, এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কন্ট্রোল। জয়স্টিকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা দিক নির্দেশ করতে, গতি নিয়ন্ত্রণ করতে, এবং বিভিন্ন ক্রিয়া সম্পাদন করতে পারে।
জয়স্টিক একটি লিভার বা স্টিক আকারে থাকে, যা একটি বেস বা প্ল্যাটফর্মের উপর মাউন্ট করা থাকে। এটি বিভিন্ন দিকে ঘুরানো যায় এবং কখনো কখনো বোতাম বা ট্রিগার থাকে যা নির্দিষ্ট ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়। জয়স্টিক সাধারণত ২টি বা ৩টি অক্ষ বরাবর (X, Y, এবং Z) চলাচল করতে সক্ষম, যা বিভিন্ন দিকে গতিশীলতা প্রদান করে।
১. আনালগ জয়স্টিক (Analog Joystick):
২. ডিজিটাল জয়স্টিক (Digital Joystick):
৩. ওয়্যারলেস জয়স্টিক (Wireless Joystick):
৪. ফ্লাইট স্টিক (Flight Stick):
১. গেমিং:
২. রোবোটিক্স:
৩. সিমুলেশন এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR):
৪. হুইলচেয়ার কন্ট্রোল:
সুবিধা:
সীমাবদ্ধতা:
জয়স্টিক একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস, যা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, বিশেষত গেমিং, সিমুলেশন, রোবোটিক্স, এবং অন্যান্য যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে। এটি ব্যবহারকারীদের সঠিক এবং দ্রুত গতিশীল নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে, যা মসৃণ এবং ইন্টারেক্টিভ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে।
গ্রাফিক্স ট্যাবলেট হলো একটি ইনপুট ডিভাইস যা ডিজিটাল আর্ট এবং গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি পৃষ্ঠ এবং স্টাইলাস (pen-like tool) দিয়ে কাজ করে, যা ব্যবহারকারীকে সরাসরি স্ক্রিনে না দেখেও আঁকতে, ডিজাইন করতে, এবং লেখালেখি করতে সহায়তা করে। গ্রাফিক্স ট্যাবলেট ডিজিটাল শিল্পীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় সরঞ্জাম।
১. ট্যাবলেট প্যাড:
২. স্টাইলাস (Stylus):
৩. বাটন এবং কাস্টমাইজেবল শর্টকাট (Buttons and Customizable Shortcuts):
১. নন-ডিসপ্লে গ্রাফিক্স ট্যাবলেট:
২. ডিসপ্লে গ্রাফিক্স ট্যাবলেট:
৩. পোর্টেবল গ্রাফিক্স ট্যাবলেট:
১. ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন:
২. গ্রাফিক ডিজাইন:
৩. ডিজিটাল পেইন্টিং:
৪. থ্রিডি মডেলিং এবং অ্যানিমেশন:
৫. হস্তাক্ষর এবং নোট গ্রহণ:
গ্রাফিক্স ট্যাবলেট ডিজিটাল শিল্প এবং গ্রাফিক ডিজাইনের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরী ইনপুট ডিভাইস। এটি ডিজিটাল ইলাস্ট্রেশন, ডিজাইন, পেইন্টিং, এবং থ্রিডি মডেলিংয়ে সহায়ক। বিভিন্ন প্রকারের গ্রাফিক্স ট্যাবলেটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক সরঞ্জাম বেছে নিতে পারে, যা তাদের কাজের গতি এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক।
লাইটপেন হলো একটি ইনপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার মনিটর বা ডিসপ্লের উপর সরাসরি লেখার বা নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি স্টাইলাসের মতো ডিভাইস যা আলো শনাক্ত করে এবং ব্যবহারকারীর স্পর্শ বা আন্দোলন শনাক্ত করে। লাইটপেন সাধারণত CRT (Cathode Ray Tube) মনিটরে ব্যবহৃত হয় এবং এটি ব্যবহার করে কম্পিউটারের স্ক্রিনে সরাসরি লেখা, আঁকা, অথবা নির্বাচনের কাজ করা যায়। এটি টাচস্ক্রিনের পূর্বসূরি হিসেবে বিবেচিত হয়।
লাইটপেন কম্পিউটারের স্ক্রিনে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে আলো শনাক্ত করে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে। যখন ব্যবহারকারী স্ক্রিনে লাইটপেনের মাধ্যমে স্পর্শ করে বা নির্দেশনা দেয়, তখন লাইটপেনের ফটোডিটেক্টর স্ক্রিনের আলো শনাক্ত করে এবং কম্পিউটারকে সেই অবস্থান সম্পর্কে তথ্য পাঠায়। এটি নিম্নলিখিত ধাপে কাজ করে:
গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং অঙ্কন:
CAD (Computer-Aided Design):
বেছে নেওয়ার এবং নির্দেশনা দেওয়া:
লাইটপেন একটি প্রাথমিক ইনপুট ডিভাইস যা ব্যবহারকারীকে সরাসরি কম্পিউটারের স্ক্রিনে লেখার, আঁকার, বা নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ দেয়। এটি গ্রাফিক্স ডিজাইন, CAD কাজ, এবং মেনু সিলেকশনের জন্য কার্যকর হলেও এর ব্যবহার বর্তমানে সীমিত, কারণ এটি মূলত CRT মনিটরে কার্যকর এবং আধুনিক টাচস্ক্রিন প্রযুক্তি লাইটপেনের বিকল্প হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
স্ক্যানার (Scanner) হলো একটি ইনপুট ডিভাইস যা ছবি, ডকুমেন্ট, বা অন্যান্য প্রিন্টেড ম্যাটারিয়াল স্ক্যান করে এবং তা ডিজিটাল ফর্মে রূপান্তর করে কম্পিউটারে পাঠায়। স্ক্যানার মূলত কাগজে মুদ্রিত বা হাতে লেখা তথ্য ডিজিটাইজ করতে ব্যবহৃত হয়, যাতে তা কম্পিউটারে প্রক্রিয়া করা, সম্পাদনা করা বা সংরক্ষণ করা যায়।
১. ফ্ল্যাটবেড স্ক্যানার (Flatbed Scanner):
২. শীট-ফিড স্ক্যানার (Sheet-fed Scanner):
৩. হ্যান্ডহেল্ড স্ক্যানার (Handheld Scanner):
৪. ড্রাম স্ক্যানার (Drum Scanner):
৫. পোর্টেবল স্ক্যানার (Portable Scanner):
১. ডকুমেন্ট স্থাপন:
স্ক্যানিং শুরু করা:
ডিজিটাল রূপান্তর:
ডেটা সংরক্ষণ:
স্ক্যানার হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস যা প্রিন্টেড ডকুমেন্ট বা ছবিকে ডিজিটাল ফর্মে রূপান্তর করে। এটি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের ক্ষেত্রে তথ্য সংরক্ষণ, আর্কাইভিং, এবং সম্পাদনা করতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের স্ক্যানার বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য উপযোগী এবং কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
MICR (Magnetic Ink Character Recognition) হলো একটি প্রযুক্তি যা চেক বা অন্যান্য ডকুমেন্টে মুদ্রিত বিশেষ ধরনের চৌম্বকীয় কালির অক্ষর পড়তে এবং শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ব্যাংকিং সেক্টরে MICR প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, বিশেষত চেক প্রক্রিয়াকরণ এবং যাচাইকরণের জন্য।
১. চৌম্বকীয় কালি ব্যবহার:
২. স্ট্যান্ডার্ড ফন্ট:
১. MICR লাইন:
২. MICR রিডার:
১. ব্যাংকিং সেক্টর:
২. চেক ক্লিয়ারিং:
৩. ডকুমেন্ট প্রক্রিয়াকরণ:
সুবিধা:
সীমাবদ্ধতা:
MICR (Magnetic Ink Character Recognition) হলো একটি বিশেষ প্রযুক্তি যা চেক বা অন্যান্য ডকুমেন্টে মুদ্রিত চৌম্বকীয় কালির অক্ষর পড়তে এবং যাচাই করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যাংকিং সেক্টরে চেক প্রক্রিয়াকরণ, ক্লিয়ারিং, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। MICR প্রযুক্তি দ্রুত এবং নির্ভুল ডেটা প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়, যা ম্যানুয়াল পদ্ধতির চেয়ে অনেক কার্যকর।
ওএমআর (OMR) বা অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন হলো একটি প্রযুক্তি যা প্রিন্টেড ফরম বা ডকুমেন্টে করা মার্ক বা চিহ্নগুলি (যেমন বৃত্ত বা বক্সে পূরণ করা চিহ্ন) পড়ে এবং শনাক্ত করে। এটি সাধারণত বিভিন্ন পরীক্ষার উত্তরপত্র, জরিপ ফরম, লটারি টিকেট, এবং উপস্থিতি শিটের মতো ডকুমেন্ট স্ক্যান এবং প্রসেস করতে ব্যবহৃত হয়। OMR প্রযুক্তি দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে ডেটা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য কার্যকর।
মার্কড শীট তৈরি:
স্ক্যানিং এবং শনাক্তকরণ:
ডেটা প্রক্রিয়াকরণ:
পরীক্ষার মূল্যায়ন:
জরিপ এবং ভোটিং:
অ্যাটেনডেন্স শিট:
লটারি এবং গেমিং:
ওএমআর (Optical Mark Recognition) হলো একটি কার্যকরী প্রযুক্তি, যা বিভিন্ন পরীক্ষার উত্তরপত্র, জরিপ, এবং উপস্থিতি শিট দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে স্ক্যান এবং প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী সংস্থার মধ্যে জনপ্রিয়, কারণ এটি দ্রুত ডেটা সংগ্রহ এবং মূল্যায়ন করতে সহায়ক।
ওসিআর (OCR) বা Optical Character Recognition হলো একটি প্রযুক্তি যা কাগজে মুদ্রিত বা হাতে লেখা অক্ষর, সংখ্যা, এবং প্রতীককে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করতে সক্ষম। এটি স্ক্যান করা ডকুমেন্ট বা ছবি থেকে টেক্সট শনাক্ত করে এবং সেই টেক্সটকে সম্পাদনাযোগ্য ডিজিটাল টেক্সট হিসেবে প্রক্রিয়াকৃত করে। OCR প্রযুক্তি সাধারণত স্ক্যানার এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডকুমেন্ট ডিজিটাইজেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. ইমেজ ক্যাপচার:
ইমেজ প্রি-প্রসেসিং:
অক্ষর শনাক্তকরণ (Character Recognition):
পোস্ট-প্রসেসিং:
ডিজিটাল ডকুমেন্ট কনভার্সন:
ব্যবসায়িক ডেটা প্রসেসিং:
হাতে লেখা নোট এবং ফর্ম প্রক্রিয়াকরণ:
পাসপোর্ট এবং আইডি কার্ড প্রক্রিয়াকরণ:
OCR হলো একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি যা ডিজিটাল ডকুমেন্ট প্রক্রিয়াকরণে বিপ্লব এনেছে। এটি মুদ্রিত বা হাতে লেখা টেক্সটকে দ্রুত ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন ব্যবসায়িক ডেটা প্রসেসিং, শিক্ষাক্ষেত্র, এবং প্রশাসনিক কাজ।
Software designed
An input device
A part of the monitor
A Part of the key-board
বারকোড রিডার (Barcode Reader) হলো একটি ইনপুট ডিভাইস যা বারকোড স্ক্যান করে এবং তা ডেটা হিসেবে কম্পিউটারে পাঠায়। বারকোড হলো একটি মেশিন-পঠনযোগ্য কোড, যা বিভিন্ন প্রস্থের কালো ও সাদা রেখা বা চিহ্ন নিয়ে গঠিত। বারকোড রিডার এই রেখাগুলিকে অপটিক্যাল সেন্সরের মাধ্যমে স্ক্যান করে এবং তথ্য সংগ্রহ করে। এটি খুচরা বিক্রয়, মজুদ ব্যবস্থাপনা, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে তথ্য সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. হ্যান্ডহেল্ড বারকোড রিডার:
২. ফিক্সড পজিশন বারকোড রিডার:
৩. পেন-টাইপ বারকোড রিডার:
৪. লেজার বারকোড রিডার:
৫. দ্বিমাত্রিক (2D) ইমেজিং বারকোড রিডার:
১. বারকোড স্ক্যান করা:
২. ডেটা বিশ্লেষণ:
৩. ডেটা ট্রান্সমিশন:
বারকোড রিডার হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস যা পণ্য, ডকুমেন্ট, এবং বিভিন্ন আইটেমের ডেটা দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করতে সহায়ক। এটি খুচরা বিক্রয়, মজুদ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং ডকুমেন্ট ট্র্যাকিংয়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, যা সিস্টেমের কার্যকারিতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।
সেন্সর হলো একটি ডিভাইস যা পরিবেশ বা কোন সিস্টেম থেকে শারীরিক, রাসায়নিক, বা জৈবিক তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেই তথ্যকে বৈদ্যুতিক সংকেত বা ডিজিটাল তথ্য হিসেবে রূপান্তর করে। সেন্সরগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন স্বয়ংচালিত যানবাহন, স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, এবং রোবোটিক্স।
সেন্সরের প্রধান কাজ হলো নির্দিষ্ট একটি ফিজিক্যাল পরিমাপকে (যেমন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, আলো, গতি) শনাক্ত করা এবং সেই তথ্যকে একটি বৈদ্যুতিক সংকেত বা ডিজিটাল আউটপুটে রূপান্তর করা।
সেন্সর অনেক ধরনের হতে পারে, এবং এগুলি বিভিন্ন পরিবেশ এবং পরিস্থিতিতে ব্যবহৃত হয়। কিছু সাধারণ সেন্সরের প্রকারভেদ নিচে দেওয়া হলো:
১. তাপমাত্রা সেন্সর (Temperature Sensor):
২. আলো সেন্সর (Light Sensor):
৩. আর্দ্রতা সেন্সর (Humidity Sensor):
৪. প্রক্সিমিটি সেন্সর (Proximity Sensor):
৫. মোশন সেন্সর (Motion Sensor):
৬. গ্যাস সেন্সর (Gas Sensor):
৭. পাইজোইলেকট্রিক সেন্সর (Piezoelectric Sensor):
৮. প্রেসার সেন্সর (Pressure Sensor):
৯. ম্যাগনেটিক সেন্সর (Magnetic Sensor):
সেন্সর বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন:
১. স্বয়ংচালিত যানবাহন: সেন্সর গাড়ির নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। যেমন, এয়ারব্যাগ সেন্সর, টায়ারের প্রেসার সেন্সর, এবং গাড়ির ব্যাটারি মনিটরিং। ২. স্বাস্থ্যসেবা: হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ, এবং শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে সেন্সর ব্যবহার করা হয়। ৩. পরিবেশ পর্যবেক্ষণ: সেন্সর পরিবেশগত তথ্য, যেমন তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, এবং দূষণ শনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। ৪. গৃহস্থালি এবং স্মার্ট হোম: স্মার্ট হোম ডিভাইসে, যেমন স্মার্ট থার্মোস্ট্যাট, স্মার্ট লাইট এবং নিরাপত্তা ক্যামেরায় সেন্সর ব্যবহার করা হয়।
সেন্সর হলো এমন ডিভাইস যা বিভিন্ন ফিজিক্যাল, রাসায়নিক, বা জৈবিক পরিমাপ শনাক্ত করে এবং তা বৈদ্যুতিক সংকেত হিসেবে রূপান্তর করে। সেন্সরের ধরন ও ব্যবহার অনেক বৈচিত্র্যময়, যা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন যানবাহন, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ, এবং নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ওয়েবক্যাম (Webcam) হলো একটি ডিজিটাল ভিডিও ক্যামেরা যা কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং এটি ভিডিও ধারণ এবং অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হয়। ওয়েবক্যাম সাধারণত ভিডিও কনফারেন্সিং, ভিডিও চ্যাট, স্ট্রিমিং, এবং নিরাপত্তা নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি কম্পিউটারের ইনপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে এবং ভিডিও বা ছবি ক্যাপচার করে কম্পিউটারে প্রেরণ করে।
১. ক্যামেরা সেন্সর (Camera Sensor):
২. লেন্স (Lens):
৩. মাইক্রোফোন (Microphone):
৪. ইউএসবি/ওয়্যারলেস সংযোগ:
১. ভিডিও কনফারেন্সিং এবং ভিডিও চ্যাট:
২. লাইভ স্ট্রিমিং:
৩. নিরাপত্তা এবং নজরদারি:
৪. ভিডিও রেকর্ডিং এবং ফটোগ্রাফি:
১. ইন্টিগ্রেটেড ওয়েবক্যাম:
২. এক্সটার্নাল বা ইউএসবি ওয়েবক্যাম:
৩. ওয়্যারলেস ওয়েবক্যাম:
১. রেজোলিউশন (Resolution):
২. ফ্রেম রেট (Frame Rate):
৩. অটো-ফোকাস এবং লাইটিং অ্যাডজাস্টমেন্ট:
ওয়েবক্যাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস, যা ভিডিও কনফারেন্সিং, লাইভ স্ট্রিমিং, এবং নিরাপত্তা নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ভিডিও এবং অডিও রেকর্ড করতে সক্ষম এবং বিভিন্ন ধরনের সংযোগ পদ্ধতির মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অনলাইনে সহজে ভিডিও চ্যাট করতে পারে এবং বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে।
ডিজিটাল ক্যামেরা হলো একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করে এবং তা ডিজিটাল ফরম্যাটে সংরক্ষণ করে। এটি ফিল্ম ক্যামেরার আধুনিক বিকল্প, যেখানে ছবি ফিল্মে ধারণ করা হতো, কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি এবং ভিডিও মেমোরি কার্ড বা ইলেকট্রনিক স্টোরেজ মিডিয়ায় সংরক্ষণ করা হয়। ডিজিটাল ক্যামেরা বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন ধরণের বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতা নিয়ে আসে, যা ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত এবং সহজ করে তুলেছে।
১. ডিজিটাল সেন্সর:
২. ইমেজ স্টোরেজ:
৩. LCD ডিসপ্লে:
৪. জুম লেন্স:
১. কমপ্যাক্ট ক্যামেরা (Point-and-Shoot Camera):
২. ডিএসএলআর ক্যামেরা (DSLR - Digital Single-Lens Reflex Camera):
৩. মিররলেস ক্যামেরা:
৪. অ্যাকশন ক্যামেরা:
ডিজিটাল ক্যামেরা আধুনিক ফটোগ্রাফির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে উচ্চ মানের ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম। এটি ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ, উন্নত, এবং পোর্টেবল করে তুলেছে, যা পেশাদার এবং শখের ফটোগ্রাফার উভয়ের জন্য উপযুক্ত।
প্রজেক্টর হলো একটি আউটপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, বা অন্যান্য মিডিয়া প্লেয়ার থেকে ভিডিও, ইমেজ, বা তথ্য বড় পর্দায় বা দেয়ালে প্রদর্শন করে। এটি সাধারণত প্রেজেন্টেশন, ক্লাসরুম, কনফারেন্স, মুভি থিয়েটার, এবং হোম থিয়েটারে ব্যবহৃত হয়। প্রজেক্টর ব্যবহার করে ছোট স্ক্রিনের বিষয়বস্তু বড় পর্দায় প্রদর্শন করা যায়, যা বড় সংখ্যক মানুষের কাছে বিষয়বস্তু সহজে উপস্থাপন করতে সহায়ক।
প্রজেক্টর বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ করে। সাধারণত প্রজেক্টরের কিছু প্রধান প্রকার হলো:
১. ডিজিটাল লাইট প্রজেক্টর (DLP - Digital Light Processing):
২. এলসিডি প্রজেক্টর (LCD - Liquid Crystal Display):
৩. এলইডি প্রজেক্টর (LED Projector):
৪. লেজার প্রজেক্টর (Laser Projector):
১. লাইট সোর্স:
২. প্রিজম বা প্যানেল:
৩. লেন্স:
১. কনফারেন্স এবং প্রেজেন্টেশন:
২. শিক্ষা:
৩. হোম থিয়েটার:
৪. মুভি থিয়েটার:
সুবিধা:
সীমাবদ্ধতা:
প্রজেক্টর হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস, যা বিভিন্ন পরিবেশে ব্যবহার করা যায়, যেমন অফিস, ক্লাসরুম, এবং হোম থিয়েটার। এটি বড় স্ক্রিনে ছবি বা ভিডিও প্রদর্শন করতে সক্ষম, যা প্রেজেন্টেশন এবং বিনোদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রজেক্টরের বিভিন্ন প্রকার এবং প্রযুক্তি রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্বাচন করা হয়।
স্পিকার (Speaker) হলো একটি আউটপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে অডিও সিগন্যাল গ্রহণ করে এবং তা শব্দে রূপান্তর করে। স্পিকার কম্পিউটার সিস্টেমে অডিও আউটপুট প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং এটি মিউজিক, গেম, ভিডিও, অথবা যেকোনো অডিও কন্টেন্ট শুনতে সাহায্য করে। স্পিকার সাধারণত বাড়ি, অফিস, বা অন্য কোথাও বিনোদন এবং যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
১. ড্রাইভার (Driver):
২. কেবিনেট (Cabinet):
৩. ক্রসওভার (Crossover):
১. স্টেরিও স্পিকার (Stereo Speakers):
২. সাবউফার (Subwoofer):
৩. পোর্টেবল স্পিকার (Portable Speakers):
৪. হোম থিয়েটার স্পিকার:
১. ওয়্যারড (Wired):
২. ওয়্যারলেস (Wireless):
স্পিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পেরিফেরাল ডিভাইস যা অডিও আউটপুট প্রদান করে। এটি বিভিন্ন প্রকারে পাওয়া যায়, যেমন স্টেরিও স্পিকার, সাবউফার, পোর্টেবল স্পিকার, এবং হোম থিয়েটার স্পিকার। স্পিকার কম্পিউটারের সঙ্গে ওয়্যারড বা ওয়্যারলেস সংযোগের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন অডিও কার্যক্রমে সহায়ক।
হেডফোন (Headphone) হলো একটি আউটপুট পেরিফেরাল ডিভাইস যা কম্পিউটার, স্মার্টফোন, বা অন্য কোনো অডিও ডিভাইস থেকে অডিও শুনতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারকারীর কানকে ঘিরে বা কানের মধ্যে স্থাপন করা হয় এবং ডিভাইস থেকে আসা সাউন্ড সিগন্যালকে শ্রবণযোগ্য করে তোলে। হেডফোন সাধারণত অডিও আউটপুটের একটি ব্যক্তিগত মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং এটি গেমিং, মিউজিক শোনা, কলিং, এবং ভিডিও দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. ওভার-ইয়ার হেডফোন:
২. অন-ইয়ার হেডফোন:
৩. ইন-ইয়ার হেডফোন (ইয়ারবাড):
৪. ওয়্যারলেস হেডফোন:
হেডফোন একটি গুরুত্বপূর্ণ পেরিফেরাল ডিভাইস যা ব্যক্তিগত অডিও অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এটি মিউজিক, গেমিং, ভিডিও কনফারেন্সিং এবং মুভি দেখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এর বিভিন্ন প্রকারভেদ এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুসারে উপযুক্ত হেডফোন নির্বাচন করতে পারে।
ইনপুট ডিভাইস হলো এমন ডিভাইস যা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ডেটা বা নির্দেশনা সংগ্রহ করে এবং তা কম্পিউটারে প্রেরণ করে। ইনপুট ডিভাইস কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারকারীর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে এবং এটি ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের ইনপুট প্রদান করতে সহায়ক। কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য প্রক্রিয়া করে এবং তার ভিত্তিতে আউটপুট তৈরি করে।
১. কীবোর্ড (Keyboard):
২. মাউস (Mouse):
৩. টাচস্ক্রিন (Touchscreen):
৪. স্ক্যানার (Scanner):
৫. মাইক্রোফোন (Microphone):
৬. ওয়েবক্যাম (Webcam):
৭. জয়স্টিক (Joystick):
৮. গ্রাফিক ট্যাবলেট (Graphic Tablet):
৯. বারকোড রিডার (Barcode Reader):
১০. বায়োমেট্রিক ডিভাইস (Biometric Devices):
১১. ট্র্যাকপ্যাড (Trackpad):
১২. লাইট পেন (Light Pen):
১৩. ডিজিটাল ক্যামেরা (Digital Camera):
১৪. ম্যাগনেটিক ইনক ক্যারেক্টার রিকগনিশন (MICR):
১৫. অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (OCR):
১৬. অপটিক্যাল মার্ক রিডার (OMR):
১৭. জিপিএস ডিভাইস (GPS Device):
১৮. ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার:
১৯. ফেসিয়াল রিকগনিশন সিস্টেম:
২০. হ্যান্ডহেল্ড কম্পিউটার (PDA):
২১. স্টাইলাস (Stylus):
২২. গেম কন্ট্রোলার (Game Controller):
ইনপুট ডিভাইস হলো কম্পিউটার এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এগুলি বিভিন্ন ধরনের ডেটা এবং নির্দেশনা ইনপুট করতে সহায়ক এবং কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
OMR
OCR
MICR
Scanner
আউটপুট ডিভাইস (Output Device) হলো এমন যন্ত্রাংশ যা কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকৃত তথ্যকে ব্যবহারকারীর কাছে প্রদর্শন বা উপস্থাপন করে। কম্পিউটার ডেটা প্রক্রিয়া করার পর আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে তা মানুষের কাছে দৃশ্যমান বা উপলব্ধ হয়। এটি সাধারণত টেক্সট, ছবি, অডিও, ভিডিও, বা অন্যান্য ফরম্যাটে আউটপুট প্রদান করে।
১. মনিটর (Monitor):
২. প্রিন্টার (Printer):
৩. স্পিকার (Speakers):
৪. প্রজেক্টর (Projector):
৫. হেডফোন/ইয়ারফোন (Headphones/Earphones):
৬. প্লটার (Plotter):
৭. স্মার্টবোর্ড (Smartboard):
৮. ব্রেইল প্রিন্টার (Braille Printer):
৯. ভিআর হেডসেট (VR Headset):
১০. হুডড ডিসপ্লে (HUD - Heads-Up Display):
১১. হ্যাপটিক ডিভাইস (Haptic Devices):
১২. অডিও কার্ড এবং এম্প্লিফায়ার (Audio Card & Amplifier):
১৩. ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড (Electronic Display Board):
আউটপুট ডিভাইস হলো এমন যন্ত্রাংশ যা কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকৃত তথ্যকে ব্যবহারকারীর কাছে দৃশ্যমান বা শ্রবণযোগ্য করে তোলে। এটি বিভিন্ন ফরম্যাটে আউটপুট প্রদান করে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে। কম্পিউটারের কার্যকারিতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা আউটপুট ডিভাইসের মান ও কর্মক্ষমতার ওপর নির্ভর করে।
কী বোর্ড (Keyboard) হলো একটি ইনপুট ডিভাইস, যা ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করাতে সহায়ক হয়। এটি কম্পিউটারের প্রধান ইনপুট ডিভাইসগুলোর একটি, যা বিভিন্ন কী (বাটন) এর মাধ্যমে বিভিন্ন অক্ষর, সংখ্যা, এবং বিশেষ কমান্ড পাঠাতে ব্যবহার করা হয়। কী বোর্ড সাধারণত টাইপিং, প্রোগ্রামিং, গেমিং, এবং অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।
কী বোর্ডে সাধারণত বিভিন্ন ধরনের কী থাকে, যা একসঙ্গে কাজ করে ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী ইনপুট প্রদান করে। কী বোর্ডের প্রধান অংশসমূহ হলো:
১. অক্ষর কী (Alphanumeric Keys):
২. ফাংশন কী (Function Keys):
৩. নাম্বার প্যাড (Numeric Keypad):
৪. নিয়ন্ত্রণ কী (Control Keys):
৫. মোডিফায়ার কী (Modifier Keys):
৬. নেভিগেশন কী (Navigation Keys):
৭. স্পেশাল কী (Special Keys):
কী বোর্ড বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, এবং বিভিন্ন কাজের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়। কিছু প্রধান কী বোর্ডের প্রকারভেদ হলো:
১. মেকানিক্যাল কী বোর্ড (Mechanical Keyboard):
২. মেমব্রেন কী বোর্ড (Membrane Keyboard):
৩. ওয়্যারলেস কী বোর্ড (Wireless Keyboard):
৪. এর্গোনমিক কী বোর্ড (Ergonomic Keyboard):
৫. গেমিং কী বোর্ড (Gaming Keyboard):
১. টাইপিং এবং ডেটা এন্ট্রি:
২. শর্টকাট এবং কন্ট্রোল:
৩. গেমিং এবং বিশেষ কাজ:
৪. নেভিগেশন এবং এডিটিং:
সুবিধা:
সীমাবদ্ধতা:
কী বোর্ড হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস, যা বিভিন্ন কাজ, যেমন টাইপিং, গেমিং, এবং প্রোগ্রামিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। এর বিভিন্ন প্রকার, যেমন মেকানিক্যাল, মেমব্রেন, এবং ওয়্যারলেস কী বোর্ড, ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা প্রদান করে। কী বোর্ডের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কম্পিউটার সিস্টেমকে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
মনিটর (Monitor) হলো একটি আউটপুট ডিভাইস যা কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং ব্যবহারকারীদের স্ক্রিনে বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল এবং টেক্সট কন্টেন্ট প্রদর্শন করে। এটি কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা ব্যবহারকারীদের সঙ্গে দৃশ্যমান ইন্টারফেস প্রদান করে এবং যা আমরা দেখি, তা স্ক্রিনে উপস্থাপন করে।
১. ডিসপ্লে প্যানেল:
২. পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট:
৩. কন্ট্রোল বাটন:
৪. ইনপুট পোর্টস:
১. সিআরটি মনিটর (CRT Monitor):
২. এলসিডি মনিটর (LCD Monitor):
৩. এলইডি মনিটর (LED Monitor):
৪. ওএলইডি মনিটর (OLED Monitor):
৫. কিউএলইডি মনিটর (QLED Monitor):
১. রেজোলিউশন (Resolution):
২. রিফ্রেশ রেট (Refresh Rate):
৩. রেসপন্স টাইম (Response Time):
৪. ব্রাইটনেস এবং কনট্রাস্ট রেশিও:
১. অফিস এবং কাজ:
২. গেমিং:
৩. গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিং:
৪. বিনোদন:
১. এইচডিএমআই (HDMI):
২. ডিসপ্লেপোর্ট (DisplayPort):
৩. ভিজিএ (VGA):
মনিটর হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস যা কম্পিউটারের ভিজ্যুয়াল আউটপুট প্রদর্শন করে। এটি বিভিন্ন প্রকার এবং বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পাওয়া যায়, যেমন LED, LCD, OLED, এবং QLED। মনিটরের ব্যবহার এবং বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী উপযুক্ত মনিটর নির্বাচন করতে পারেন।
ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) বা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট হলো একটি ক্ষুদ্রতর ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যা একটি ক্ষুদ্র সেমিকন্ডাক্টর উপাদানের ওপর অসংখ্য ট্রানজিস্টর, রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্টকে একত্রিত করে তৈরি করা হয়। আইসি সাধারণত সিলিকন চিপের মধ্যে তৈরি করা হয় এবং এটি কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
আইসি মূলত একটি ইলেকট্রনিক সার্কিট যা একক সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে অসংখ্য ইলেকট্রনিক উপাদানকে একত্রিত করে কাজ করে। এটি আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের মূল ভিত্তি, এবং এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন কম্পিউটার, মোবাইল, রেডিও, এবং টেলিভিশন ব্যবহার করতে পারি।
১. ট্রানজিস্টর:
২. রেজিস্টর:
৩. ক্যাপাসিটর:
৪. ডায়োড:
১. অ্যানালগ আইসি (Analog IC):
২. ডিজিটাল আইসি (Digital IC):
৩. মিশ্রিত আইসি (Mixed Signal IC):
১. কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইস:
২. গাড়ি এবং স্বয়ংচালিত ব্যবস্থা:
৩. কন্ট্রোল সিস্টেম:
৪. দৈনন্দিন বৈদ্যুতিক যন্ত্র:
সুবিধা:
সীমাবদ্ধতা:
ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) আধুনিক ইলেকট্রনিক্সের একটি অপরিহার্য উপাদান, যা একটি ক্ষুদ্র সেমিকন্ডাক্টর চিপে হাজার হাজার ইলেকট্রনিক কম্পোনেন্ট সংযুক্ত করে। এটি বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত হয় এবং এর ফলে ডিভাইসগুলো ছোট, দ্রুত, এবং কার্যকরী হয়।
BIOS (Basic Input/Output System) হলো কম্পিউটারের একটি ফার্মওয়্যার যা কম্পিউটার সিস্টেম চালু করার সময় হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ এবং প্রাথমিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। BIOS মূলত কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে একটি ছোট মেমোরি চিপে সংরক্ষিত থাকে এবং এটি কম্পিউটার বুটিং প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে কাজ করে। এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার উপাদানগুলির ইনিশিয়ালাইজেশন এবং অপারেটিং সিস্টেম লোড করার দায়িত্ব পালন করে।
১. Power-On Self-Test (POST):
২. বুট লোডার:
৩. হার্ডওয়্যার ইনিশিয়ালাইজেশন:
১. CMOS (Complementary Metal-Oxide-Semiconductor):
২. বুট লোডার:
৩. POST (Power-On Self-Test):
BIOS হলো কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফার্মওয়্যার যা সিস্টেম চালু করার সময় হার্ডওয়্যার এবং অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে যোগাযোগ এবং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি সিস্টেমের বুট সিকোয়েন্স এবং কনফিগারেশন পরিচালনা করে এবং কম্পিউটার বুট এবং প্রাথমিকভাবে কাজ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। BIOS বর্তমানে UEFI দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে, যা আরও উন্নত এবং কার্যকর ফিচার প্রদান করে।
ROM BIOS
CPU
boo.ini
None
BIOS
Boot
Bus
Cache
প্রিন্টার হলো একটি আউটপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রিন্টেড আকারে, যেমন কাগজে, প্রদর্শন করে। এটি সাধারণত টেক্সট, ছবি, এবং গ্রাফিক্স প্রিন্ট করতে ব্যবহৃত হয়। প্রিন্টার অফিস, স্কুল, এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস, কারণ এটি ডিজিটাল তথ্যকে সহজে প্রিন্টেড ফরম্যাটে রূপান্তরিত করতে সহায়ক।
১. ইঙ্কজেট প্রিন্টার (Inkjet Printer):
২. লেজার প্রিন্টার (Laser Printer):
৩. ডট ম্যাট্রিক্স প্রিন্টার (Dot Matrix Printer):
৪. থার্মাল প্রিন্টার (Thermal Printer):
৫. মাল্টিফাংশন প্রিন্টার (MFP):
প্রিন্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার বা অন্যান্য ডিভাইস থেকে প্রাপ্ত ডেটা কাগজে প্রিন্ট করে। বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টার বিভিন্ন কাজের জন্য উপযোগী, যেমন ইঙ্কজেট প্রিন্টার রঙিন প্রিন্টিংয়ের জন্য, লেজার প্রিন্টার দ্রুত প্রিন্টিংয়ের জন্য, এবং থার্মাল প্রিন্টার রসিদ প্রিন্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রিন্টার দৈনন্দিন জীবনে অফিস, শিক্ষা এবং ব্যবসায়িক কাজ সম্পাদনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাব
রিসোর্স
সার্ভার
অ্যাডস্টার
মাউস হলো একটি ইনপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার স্ক্রিনে কার্সর বা পয়েন্টার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারকারীদের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) এর মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য করে, যেমন আইটেম নির্বাচন, ক্লিক করা, ড্র্যাগ করা, এবং স্ক্রল করা। মাউস সাধারণত ডেস্কটপ কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং এটি ল্যাপটপেও প্রয়োজনীয়তা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১. লেফট ক্লিক বোতাম (Left Click Button):
২. রাইট ক্লিক বোতাম (Right Click Button):
৩. স্ক্রল হুইল (Scroll Wheel):
৪. কার্সর (Cursor):
৫. সেন্সর:
১. মেকানিক্যাল মাউস:
২. অপটিক্যাল মাউস:
৩. লেজার মাউস:
৪. ওয়্যারলেস মাউস:
৫. গেমিং মাউস:
১. ক্লিক করা:
২. ড্র্যাগ এবং ড্রপ:
৩. স্ক্রল করা:
৪. ডিজিটাল আঁকা এবং ডিজাইন:
১. ইউএসবি (USB):
২. পিএস/২ (PS/2):
৩. ওয়্যারলেস (Bluetooth/RF):
মাউস একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস যা কম্পিউটারের গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে কাজ করতে সহায়ক। এটি বিভিন্ন ধরনের এবং বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে পাওয়া যায়, যা বিভিন্ন কাজ, যেমন নেভিগেশন, ডিজিটাল ড্রয়িং, এবং গেমিংয়ে সাহায্য করে। মাউসের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহার আরও সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব হয়ে ওঠে।
প্লটার হলো একটি আউটপুট ডিভাইস যা বড় আকারের গ্রাফিক্স, চার্ট, ডিজাইন, এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং প্রিন্ট করতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট, এবং ডিজাইনারদের জন্য বড় এবং জটিল অঙ্কন এবং নকশা প্রিন্ট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। প্লটারগুলো সাধারণ প্রিন্টারের তুলনায় আরও নির্ভুল এবং বড় কাগজে ছবি বা নকশা আঁকতে সক্ষম।
১. উচ্চ রেজোলিউশন এবং নির্ভুলতা:
২. বড় কাগজ প্রিন্টিং সক্ষমতা:
৩. মাল্টি-কালার প্রিন্টিং:
১. ফ্ল্যাটবেড প্লটার (Flatbed Plotter):
২. ড্রাম প্লটার (Drum Plotter):
৩. ইঙ্কজেট প্লটার (Inkjet Plotter):
১. আর্কিটেকচার এবং ইঞ্জিনিয়ারিং:
২. গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং বিজ্ঞাপন:
৩. মানচিত্র এবং চার্ট প্রিন্টিং:
প্লটার একটি বিশেষ ধরনের আউটপুট ডিভাইস, যা বড় আকারের গ্রাফিক্স, অঙ্কন, এবং ডিজাইন প্রিন্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি আর্কিটেকচার, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উন্নতমানের এবং বড় আকারের প্রিন্টিংয়ের জন্য কার্যকর। যদিও এটি ব্যয়বহুল এবং ধীর হতে পারে, তবে এর নির্ভুলতা এবং কার্যকারিতা একে অনন্য করে তোলে।
কানেকশন পোর্ট (Connection Port) হলো কম্পিউটারের একটি ইন্টারফেস বা পয়েন্ট যেখানে বিভিন্ন ধরনের পেরিফেরাল ডিভাইস, যেমন কীবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার, এবং অন্যান্য হার্ডওয়্যার ডিভাইস সংযুক্ত করা যায়। পোর্ট সাধারণত কেবল বা কনেক্টরের মাধ্যমে ডিভাইসের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, যা ডেটা এবং পাওয়ার স্থানান্তরের জন্য ব্যবহৃত হয়।
১. ইউএসবি পোর্ট (USB - Universal Serial Bus):
২. এইচডিএমআই পোর্ট (HDMI - High-Definition Multimedia Interface):
৩. ইথারনেট পোর্ট (Ethernet Port):
৪. ভিজিএ পোর্ট (VGA - Video Graphics Array):
৫. ডিসপ্লে পোর্ট (DisplayPort):
৬. অডিও পোর্ট (Audio Ports):
৭. এসডি কার্ড স্লট (SD Card Slot):
৮. থান্ডারবোল্ট পোর্ট (Thunderbolt Port):
কানেকশন পোর্ট হলো কম্পিউটার সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা ডিভাইসগুলির মধ্যে ডেটা এবং পাওয়ার ট্রান্সফারের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করে। বিভিন্ন ধরনের পোর্ট বিভিন্ন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন USB, HDMI, Ethernet, VGA, DisplayPort, এবং Thunderbolt। পোর্টগুলির মাধ্যমে ডিভাইস সংযোগ সহজতর এবং কার্যকর হয়, যা আমাদের কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করে।
আরও দেখুন...